আগামী ৩ দিনের মধ্যে কোটা সংক্রান্ত সরকারি পরিপত্র বাতিল করতে সরকারকে সময় বেধে দিয়েছে কোটাবিরোধী আন্দোলনে থাকা শিক্ষার্থীরা। সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগে দিনের কর্মসূচি শেষে এ ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ।

এ সময় জানানো হয়, বেধে দেওয়া সময়ের মধ্যে পরিপত্র বাতিল না করা হলে, বুধবার থেকে সারাদেশে ‘ব্লকেড’ কর্মসূচি দেওয়া হবে বলেও হুসিয়ার করা হয়।

এছাড়া মঙ্গলবারও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাস–পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এদিন অনলাইন ও অফলাইনে দাবির পক্ষে গণসংযোগ চলবে বলে জানান আসিফ।

সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল ও ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র পুনর্বহালসহ চার দফা দাবিতে সোমবারও বিক্ষোভ ও অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের ষষ্ঠ দিনে সোমবার রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ করে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা।

বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও আশপাশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নিয়ে জড়ো হয় শাহবাগ মোড়ে। একই সময়ে গুলিস্তান ও সাইন্সল্যাব মোড়ে জড়ো হয় শিক্ষার্থীরা। এসব এলাকার সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে তারা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে পূর্ব ঘোষিত ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। সরকারি চাকরিতে মেধার মূল্যায়ন করার দাবি তাদের। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কঠোর আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা ছাত্র-ছাত্রীদের।

সড়ক অবরোধের কারণে কারওয়ান বাজার, বাংলামোটর, ফার্মগেট, রামপুরা, বাড্ডা এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে রাজধানীর একটি বড় অংশ যানজটে স্থবির হয়ে পড়েছে। চরম ভোগান্তিতে অফিস ছুটি শেষে ঘরে ফেরা মানুষ।